নিজস্ব প্রতিবেদক:
যেখানে দেখা হবে সেখানে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদকে জুতাপেটার ঘোষণা দিয়েছিলেন জেলা যুবদলের সহ সভাপতি পারভেজ মল্লিক। গত রোববার (৩১ অক্টোবর) আড়াইহাজারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ ঘোষণা দেন , যা গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে। এতে বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয়। সেই অনুষ্ঠানে পারভেজ মল্লিক বলেন , ইতিহাস স্বাক্ষী দিচ্ছে। যেই দেশে মুক্তিযোদ্ধা ছিল ওই দেশে রাজাকারের বাচ্চা ছিল। যেই দেশে বিএনপি আছে ওই দেশে নজরুল ইসলাম বাবু মার্কা বিএনপি নেতাও আছে। যারা দুয়েকটা বক্তব্য দিয়ে সেন্টারের দু-চারজন নেতাকে ম্যানেজ করে বাবুকে খুশি করতে চায়। তারা কোনদিন শহীদ জিয়ার ছেলে তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করতে চায় না।
তিনি বলেন, মাহমুদুর রহমান সুমন হাওয়া ভবনের তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোর খুব কাছের ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তিনি কোন হাওয়া ভবনের ড্রাইভার ছিলেন না। আজকে যারা বড় বড় বিএনপি নেতা হতে চায় তাদের হুশিয়ার করে দিতে চাই। খবরদার বলে দিলাম তোমার মাটিতে দাঁড়িয়ে বিগত দিনে নারায়ণগঞ্জে বলেছি তোমাকে যেখানে দেখা হবে জুতা দিয়ে পিটানো হবে। আজকে আড়াইহাজারের মাটিতে দাঁড়িয়ে তাকে বলছি আন্তর্জাতিক মার্কাটাকে, ভাল হয়ে যান। রাতের আধারে ওয়েস্টিনে বসে এক কাপ কফি খাইয়ে যদি ভাবেন আপনি পাপিয়া মার্কা নেতা হবেন সম্রাট মার্কা নেতা হবেন, তাহলে আওয়ামী লীগ করেন। নাহলে আড়াইহাজার দূরে থাক। নারায়ণগঞ্জের কোন জায়গায় থাকতে পারবেন না। আন্তর্জাতিক মার্কা নেতা ভাল হয়ে যান। টাকা দিয়ে স্বেচ্ছাসেবক দল আনবেন, ছাত্রদল আনবেন, যুবদল আনবেন, বাটপারি চিটারি ছেড়ে দেন। এ দল আমার আদর্শের নেতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের দল, এ দল স্বাধীনতার পক্ষের দল লাল সবুজের পতাকার দল। খবরদার তোমার মাস্টারির দল না।
তিনি আরো বলেন, আড়াইহাজারের এই মানুষগুলো বুঝে নাই যে আপনি ক্ষমতা থাকতে ক্ষমতার অপব্যবহার করেন নি। যাদের ক্ষমতা নাই, যারা ড্রাইভারি করেছে তারা কিছু লোককে ব্লাকমেইল করে। আজকে আড়াইহাজারে অপপ্রচার চালাতে চাচ্ছে। আমার বাড়িতে আসো দেখা করো তাহলে যুবদল ছাত্রদল তোমার হাতে চলে যাবে। এ ধরনের চরিত্রের নেতাদেরকে আমরা ঘৃণার সাথে আজকে স্মরণ করছি, তাদের ডাস্টবিনে ছুড়ে ফেলে দিচ্ছি। আমি শুধু আড়াইহাজারবাসীকে একটা প্রশ্ন করবো। সুমন ভাই এতদিন লুকায় ছিল আর লুকানোর সময় নাই। সুমন ভাইকে আমরা চিনে গেছি। সুমন ভাইকে সামনে রেখে আমার নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পতনের আন্দোলন আমরা করবো। সুমন ভাই শুধু আড়াইহাজার নিয়ে বসে থাকলে হবে না। আমি ব্যাক্তিগতভাবে জানি। আপনি যেখান থেকে এসে আজকে এই চেয়ারে বসেছেন। ওইখান থেকে আপনাকে ভালবাসে।
এদিকে গতকাল নজরুল ইসলাম আজাদ পারভেজ মল্লিকদের বাসায় যান। এসময় পারভেজ মল্লিক বলেন, সেদিন শয়তানের ধোঁকা আড়াইহাজার গিয়েছিলাম। ছাত্রদল ,যুবদলের ছেলেরা আমাকে বলে ভাই এটা বলেন ,সেটা বলেন। একটা কেন্দ্রীয় নেতার বিরুদ্ধে ওই বক্তব্য দেওয়া ঠিক হয়নি। এসময় তিনি ক্ষমা চান নজরুল ইসলাম আজাদের কাছে। নজরুল ইসলাম আজাদ তাকে ক্ষমা করে দিয়ে তার পরিবারের উদ্দেশে বলেন, ও রাজনীতি করবে, আমি ওকে দেখবো। বড়ভাই হিসেবে আমি ওকে সহযোগিতা করবো। পলিটিক্স করার দরকার নাই এই কথাটা আপনারা প্রত্যাহার করে নেন। তখন মল্লিকের বাবা মল্লিককে রাজনীতি করার সম্মতি দেন।
তবে আজাদ বিরোধীরা পারভেজ মল্লিকের কান্ডকে নাটক হিসেবে দেখছেন।